একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশ নেবে বলে বলে জানিয়েছেন ঐক্যের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তবে এজন্য নির্বাচনের তফসিল পেছানোর দাবি জানান তিনি।
শনিবার (১০ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের নিজ বাসভবনে সারাবাংলা’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি সরকারের সঙ্গে সংলাপ, মনোনয়ন, নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়েও ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন দিক নিয়েও কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে যাচ্ছি নীতিগত ভাবে। এজন্য নির্বাচনের তফসিল পেছানো প্রয়োজন। তবে অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো আভাস পেলে আমরা সেখানে যাবো না। তখন নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নে কামাল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্তব্য করবো না। ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবির মধ্যেই নিরপেক্ষতার কথা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সংলাপে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
আপনারা আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসবেন কিনা?, জবাবে গণফোরামের সভাপতি বলেন, ‘সংলাপে বসার প্রয়োজন নেই। তবে বিশেষ ব্যাপারে কথা বলার প্রয়োজন হলে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবো।’
আপনারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের সব নেতাদের সঙ্গে আজ আলোচনা হবে।’ এসময় তিনি ফের নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল পেছানোর কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্ট কিভাবে মনোনয়ন দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ঐক্যের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নিয়েই আজ আলোচনা হবে। আশা করি দেশবাসীকে দুই একদিনের মধ্যেই আমরা সবকিছু জানাতে পারবে। তবে আমি মনে করে ঐক্যফ্রন্টের প্ল্যাটফর্ম থেকেই মনোনয়ন দেওয়া উচিত।’
আপনি কি নির্বাচন করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করতে চাই না। তবে সহকর্মীরা নির্বাচন করতে বলেছে। আমার নির্বাচন করার চিন্তা-ভাবনা নেই। এই বয়সে নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই বলেই আমি মনে করি।’
আপনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ একজন, কালের সাক্ষীও বটে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ ছিলো, যা মামলার সাক্ষী-প্রমাণ থেকে বের হয়ে এসেছে, আপনি সেই দলের সঙ্গে ঐক্য করলেন কিভাবে? জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘আপনার এ প্রশ্ন আমি শুনিনি। মন্তব্য করতেও চাই না।’